দেশের জেলা–উপজেলায় অনেক মানুষের স্বপ্ন থাকে তাঁদের এলাকায় একটি ভালো সড়ক বা সেতু হোক। এর ফলে কৃষিপণ্য সহজে শহরে নিয়ে আসা যাবে, শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে। মানুষের জীবনমান আরও সমৃদ্ধ হবে।
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মানুষও তেমন স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁদের স্বপ্নপূরণে সেখানে দুটি সেতুর কাজ শুরু হলেও তাঁরা এখন একপ্রকার হতাশ। মেয়াদকাল শেষ হলেও সেতু দুটির কাজ শেষ হয়নি। এতে জনদুর্ভোগ কমার চেয়ে আরও বেড়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, কালুখালী ও পাংশা উপজেলায় মানুষের যাতায়াতের জন্য কালুখালী-পাংশা সড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সেখানে প্রায় ৪০০ মিটারের মধ্যে দুটি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় প্রায় দুই বছর আগে। চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু সেতু দুটির অর্ধেকের বেশি কাজ বাকি রয়েছে। এতে দুই উপজেলার হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় এক ব্যক্তির বক্তব্য, ‘বড় সেতুর কাজ আড়াই থেকে তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। আরেকটি কাজ অন্তত ১৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। আমরা কৃষিকাজ করি। পাশেই রয়েছে পদ্মা নদী। পদ্মার চরে বিভিন্ন ধরনের ফসল আবাদ করা হয়। পাংশা, কালুখালী বা রাজবাড়ী শহরে এসব ফসল বা সবজি নেওয়ার জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু রাস্তার মধ্যে থাকা সেতুর কাজে ঢিলেমি করা হচ্ছে।’
কালুখালী এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আকবর আলী বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের জন্য একটি রানিং বিল (চলতি বিল) চেয়ে ছিল। বিলটি জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় বিল দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণে আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঝেমধ্যে কাজ বন্ধ ছিল। তবে অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।’
সেতু নির্মাণের কাজের দায়িত্ব পায় মেসার্স শেখ এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রুহুল আমীন। কাজের অংশীদার রাজবাড়ীর বড়পুল এলাকার ঠিকাদার ওমর ফারুক।
ওমর ফারুক বলেন, ‘বরাদ্দ না থাকায় কোনো বিল এখনো পাইনি। সব মিলিয়ে কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা কাজের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর আবেদন করেছি। এই সময়ের মধ্যে একটি সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ করতে পারব। তবে আরেকটি সেতু নির্মাণ শেষ হতে আরও সময় লাগবে।’
সেতুর প্রকল্প বাস্তবায়নে এমন ভাষ্য আমাদের কাছে নতুন নয়। রানিং বিল ছাড় না হওয়া বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের অজুহাতে প্রায় দুই বছর ধরে এ দুই সেতুর নির্মাণকাজের এমন বেহাল কাম্য নয়। দ্রুত সেতু দুটির কাজ শেষ করুন।
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).
This petiton does not yet have any updates
At 100,000 signatures, this petition becomes one of the top signed on amarabedon.com!
By signing you are agree to the followingTerms & Condition and Privacy Policy.
Reasons for signing.
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).