কুড়িগ্রামের চিলমারীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ পথহীন। শিক্ষকেরা গাছতলায় বসে ক্লাস নেন, শিক্ষার্থীরা ধুলা, ময়লা আর যানবাহনের শব্দের মধ্যে পড়াশোনা করে। এ ঘটনা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঘটেনি। ঘটেছে নৈতিক অবক্ষয়ের ফলে।
খবর জানাচ্ছে, সরকারি জায়গায় বন্দোবস্ত পেয়ে বিদ্যালয়ের পথরোধ করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন এক ব্যক্তি। ফলে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে। এ ঘটনা স্থানীয় প্রশাসনের চরম অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি। যে দেশে শিক্ষা খাতকে অন্যতম ‘অগ্রাধিকার’ বলে দাবি করা হয়, সেখানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশপথই যদি রক্ষা করা না যায়, তাহলে প্রশাসন আসলে কী করছে?
বছরের পর বছর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ওয়াপদা খালের বাঁধ দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করেছেন। সেই পথটি যে সরকারি খাসজমি, এ কথা প্রশাসন সবচেয়ে ভালো জানে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এক ব্যক্তি নিজেকে ভূমিহীন পরিচয় দিয়ে ওই জমি বন্দোবস্ত নিতে পেরেছেন। এরপর ধীরে ধীরে স্থাপনা গড়ে তুলে বিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশপথ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, এই অনিয়ম কি প্রশাসনের অগোচরে হয়েছে?
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছে। কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি ‘প্রশিক্ষণে আছি’ বলে ফোন কেটে দেন। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, ‘সমাধান বের করা হবে’। কিন্তু এই ‘হবে’ শব্দটিই মূল সমস্যা। প্রশাসন বছরের পর বছর শুধু ‘হবে’ বলেই দায়িত্ব এড়িয়ে গেছে। এদিকে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পথ দখল করে স্থাপনা দাঁড়িয়ে গেছে দিব্যি।
বিদ্যালয়টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টির প্রবেশপথ রক্ষার দায়ও রাষ্ট্রের। কিন্তু বিদ্যালয়ের স্বার্থে তেমন কোনো সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে না। কেন? আমরা আশা করি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করবে, যাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশে পাঠদান ও পাঠ গ্রহণ করতে পারে।
বিদ্যালয়ের প্রবেশপথ পুনরুদ্ধার করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন উদাসীনতা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার বিরুদ্ধে নিশ্চিত করতে হবে জবাবদিহি। একটি বিদ্যালয়ের পথরোধ করা মানে হাজারো শিশুর ভবিষ্যতের পথরোধ করা। আমরা আশা করি, প্রশাসন গড়িমসি না করে অবিলম্বে বিদ্যালয়টিতে প্রবেশের বাধা অপসারণ করবে।
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).
This petiton does not yet have any updates
At 20,000 signatures, this petition becomes one of the top signed on amarabedon.com!
By signing you are agree to the followingTerms & Condition and Privacy Policy.
Reasons for signing.
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).